Posts

আড়াল

যে সূর্য্য হারিয়ে গেছে মেঘের ফাঁকে, তাকে ফিরিয়ে আনতে পারে একপশলা বৃষ্টি। তোমাকে খুঁজেছি মহানগরীর রাস্তায়, তুমি দাঁড়িয়ে ছিলে বারান্দায় একমনে আনমনা। একফাঁকে লুকিয়ে, পাশ থেকে দেখেছি তোমায় তুমি জানতে না। তুমি জানতে না বলেই তুমি এত সুন্দর, আর আমি মেঘ হয়ে ঢেকেছি তোমায়। স্বার্থপরের মত আড়াল করেছি, তবু তুমি ছড়িয়ে পড়েছ   এক এক করে চারপাশে। আমার তবু সকাল হয়েছে রাত পেরিয়েছে চাতকের মত সবাই বৃষ্টি চেয়েছে তবু বৃষ্টি হয়নি, তুমিও রয়েছ আমার আড়ালে। - ঋজু ঘোষ, ৯ এপ্রিল ২০১৬, ব্যাঙ্গালোর

পাশবিক

পাশবিক যৌনাতায় আর যাই থাকুক না থাকুক প্রেম থাকে না ভালোবেসে কে আর মার খেতে চায়? গোলাপের পাপড়ি ছেঁড়ে যারা তারা কি গোলাপ প্রেমী তারা ফুল ব্যবহার করে ভাগ্য নির্ণয়ে? ভাগ্য যদি গোলাপ, শাঁখা, চুনি পান্না দিয়ে বদলানো যেত তাহলে প্রথমেই মানুষ হোত অলস ও কর্মবিমূখ নদীর ধারে হা করে পরে থাকা কুমীরের মত আমরাও প্রেমহীন যৌনতায় হারিয়ে যেতাম কোথায় সেই বৈষ্ণব পদাবলী বা আরব্য রজনী ? দুবেলা দুমুঠো খেয়ে চল ঘুম লাগাই, "কাল মধুমাস"  - ঋজু ঘোষ, ৮ এপ্রিল ২০১৬, ব্যাঙ্গালোর

Artemisia Gentileschi - First Mainstream Woman Artist

Image
Artemisia Gentileschi - art, rape and struggle. All very painful but she came out of all with grace and respect for the first time ever. Read more about her http://en.wikipedia.org/wiki/Artemisia_Gentileschi The 7 month old rape trial http://www.webwinds.com/artemisia/trial.htm

John Singer Sargent - A visual treat

Image
All the paintings of John Singer Sargent is mesmerizing, visual treat. For more information have a look http://en.wikipedia.org/wiki/John_Singer_Sargent  

টেলিগ্রাফের তার ও ফিঙের লেজ

আমার ছোটবেলায় আমরা যখন বাসে করে মামাবাড়ি যেতাম তখন শহর ছাড়ামাত্রই দিগন্তজোড়া ধানক্ষেত শুরু হয়ে যেত। ধানক্ষেত ের সীমানা বরাবর দেখা যেত ধুসর গাছের সারি। মনে হত যেন ওটাই পৃথিবীর শেষ। আমাদের কল্পনায় চলন্ত বাসের থেকে আমরা কত কিছুই না জানি ভেবে নিতাম। কখনও সবুজ কখনও ধূসর ধানক্ষেতের সাথে সাথে চলত অধূনালুপ্ত টেলিগ্রাফের তার। ভারি মজার ছিল। দুটো তার পাশাপাশি সমান্তরাল ভাবে থাকত। রাস্তায় বাস চলত আর তার পাশেপাশে তারদুটি সঙ্গীর মত চলাফেরা করত। অনেকটা ঢেউয়ের মতই তারগুলি ওঠানামা করত। আমি মনদিয়ে দেখতাম। এইভাবে সময় কেটে যেত। মাঝে মাঝেই তারে বসে থাকত লম্বা লেজওয়ালা একধরণের পাখি । বাবা শিখিয়েছিল ওটার নাম ফিঙে । লেজ লম্বা থাকার জন্যে ওরা মাটিতে নামতে পারত না। কী বিড়ম্বনা। অনেকটা পথ এইভাবে পেরিয়ে যাবার পর, বাড়িঘর দেখা যেত। একই রাস্তাদিয়ে বারবার যাতায়াত করার ফলে বাড়িগুলো সব চেনা হয়ে গিয়েছিল। বাড়ির গড়ন দেখে বুঝতাম আর কতদূর বাকী আছে। একটা নিজস্ব জগতে ঘোরের মধ্যে ছিল আমাদের সেই ভ্রমণ। তারপর তো অনেক ঘুরলাম, কিন্তু ছবির মতন মনে আছে আমার সেই ছোটবেলার মামাবাড়ি ভ্রমণ। অনেকগুলো বাড়ি কাঠের ছিল। সেইসব কাঠের গায়ে...

ভাষ্করকাকু– My Uncle

এত তাড়াতাড়ি   ভাষ্করকাকু, এতো তাড়াতাড়ি চলে গেলে কি করে চলবে । জটিল অঙ্কটা যে এখনও মিলছে না, খাতা খুলে বসে আছি । জীবনবিজ্ঞানের হিসাবগুলো আর মনে দানা কাটছে না। পদার্থবিদ্যার আরও কিছু বাকী আছে।   সেই কবে প্রায় কুড়ি বছর আগে আমরা পরীক্ষা দিয়েছি তবু আজও সেই সন্ধ্যের মতন আমি আর অগ্নি বসে আছি, তুমি আসবে বলে।   সেইদিন, তুমি আসনি বলে, আমরা সাইকেল নিয়ে, পৌঁছে গেছি সেই পুকুর পাড়ে। আমাদের সেই ফাজিল ডাক, তারপর পালিয়ে আসা। তুমি এসেছিলে।   সেইদিনের মতন আমরা আরও একবার বইখাতা নিয়ে, সবকিছু ছেড়েছুড়ে বসে পরতে পারি। আরও একটা পরীক্ষার জন্যে। শুধু একবার নয়, বারবার অনেকবার, তুমি আসবে বলে। আমাদের বইবন্ধ আড্ডার মাঝে চেয়ার টেনে।   দিনকয়েক আগে, তোমাকে যখন প্রণাম করলাম   তুমি টেনে নিলে আমাকে, তোমার সেই হাসি শেষ হাসি হয়ে গেল।   ভাষ্করকাকু, আমরা বসেআছি তুমি আসবে না বলে, প্রণাম নিও, ভালো থেকো। আরও ভাল থেকো, যতটা ভাল আমারা আছি, তার থেকেও।। -       ঋজু ঘোষ, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ব্যাঙ্গালোর ...

Books on Sanskrit

http://hinduebooks.blogspot.in/