Posts

Durga Puja in Bangalore 2022

Name Location Address Janapriya Greenwood Apartment Abbigere Doddabidarakallu,Kereguddadahalli,Chikkabanavara 560090 Shree Jagannath Temple Trust Agara 24 Th Main, Agara, Sarjapu Road, Bengaluru -34 Begur Bengali Cultural Association (Bbca) Akshayanagar Dlf Mela Ground, Opposite Of Hira Nandani, Akshayanagar, Begur, Bangalore 560068 Spandan Akshayanagar Ln Amma Party Hall, Akshayanagar, Begur Dlf Society Durga Puja Akshaynagar Dlf Newtown Society Block 2 Bengali In Bangalore (Binb) Arekere Kalyani Kala Mandir, Bannerghatta Main Road, Doraisanipalya, 151/1, Panduranga Nagar, Bengaluru - 56...

উত্তর

 আমারই কবিতার খাতা থেকে  তুমি আমার খোঁজ নিয়েছ। "কেমন আছেন?" তোমার এই প্রশ্নের উত্তর "হ্যাঁ" দেব বলে  আমি আরও একবার মিথ্যের আশ্রয় নিলাম  তোমার সাথে সহমত পোষন করব বলে।।  --- ঋজু, ১২-জানু-২০২২ 

Cooch Behar a Pop History (ইতিকথায় কোচবিহার)

Image
            বর্তমান পশ্চিমবঙ্গে "রাজবাড়ী" বলতে যা বোঝায় তা বেশিরভাগই জমিদার বাড়ি। তৎকালীন অবিভক্ত বাংলায় জমিদার ছাড়াও বেশ কিছু রাজা ছিলেন। পলাশীর যুদ্ধের পরে ইংরেজরা রাজত্ব শুরু করলে তারা কমবেশি সকলেই ছোট বা বড় জমিদার হিসাবে পরিণত হন। খাতায়-কলমে একমাত্র কোচবিহারই করদ রাজ্য হিসেবে পরিগণিত হয়। কেবলমাত্র ভৌগলিক পরিধির উপর বিচার করেই একে দেখলে চলবে না। কোচবিহার রাজ্যের সুপ্রাচীন ইতিহাস আছে। আসুন ভাগে ভাগে আমরা সেই ইতিহাসকে হালকাভাবে জেনে নি। ভণিতা বা স্বীকারোক্তি           ইতিহাস নিয়ে বলতে গেলে নানা রকম ঐতিহাসিক তথ্য দরকার পড়ে। এই তথ্যগুলি জোগাড় হয় পূর্বের কোন ঐতিহাসিক গবেষণার ফলাফল থেকে অথবা সমকালীন লেখাপত্র থেকে। কোচবিহারের ইতিহাস সম্পর্কে অনেকের যেরকম ভাসা-ভাসা ধারণা রয়েছে আমারও ঠিক তেমনি। অল্পস্বল্প কয়েকজন রাজা উজিরের নাম জানলেও আসলে কোচবিহারের ইতিহাস বেশ জটিল ও দীর্ঘ।           কোচবিহারের ইতিহাস নিয়ে প্রামাণ্য গ্রন্থ লিখেছেন আমানাতুল্লা আহমেদ। বহু তথ্য এই গ্রন্থ থেকেই পাওয়া যায়...

একটি বিচ্ছেদের কবিতা

Image
  একটি বিচ্ছেদের কবিতা ---------------- পাঁচতারা রেঁস্তরায় ওয়াইনের গ্লাস হাতে  কেত মারা ছবি পাঠিয়েছিলাম তোমাকে। তুমি জিজ্ঞেস করেছিলে, 'সঙ্গে কে?'  আমার উত্তর ছিল, 'কেউ তো ছিল না!  ওয়েটারকে বলায় সে ছবি তুলে দেয়।' তুমি আমাকে দক্ষ আইনজীবীর মত কুপোকাত করে একটিই কথা বলেছিলে, 'তুমি বুঝি একা দুটো গ্লাস নিয়ে মদ খাও?' আমি জবাবে বলতে চেয়েছিলাম ---  আমি তো ওইভাবেই খাই  যখনই একা খেতে বসি  তোমার কথা মনে পড়ে এমনকি হোটেলের বিছানায় দুটি বালিশ  পাশাপাশি সহাবস্থান করে  আমার বাথরুমে দুটি টাওয়েল, দুটি ব্রাশ, দুটি সাবান পাশাপাশি রাখা থাকে। কারন এইভাবেই তোমাকে আমার পাশে রাখা যায়।  এইসব বলিনি, মানে এত গুছিয়ে  বলতে পারিনি তুমি বলেছিলে, 'বাড়ি ফেরার দরকার নেই।' আমিও চিরকালের মত তোমার কথাই মেনে নিয়েছি। আমি বাড়ি ফিরে কী করব?  তোমার সাথে কাটাব বলে?  সে তো আমি সবসময়ই কাটাই।  তার জন্যে বাড়ি না ফিরলেও চলে  ... ভুবনজোড়া আমাদের সংসার।।  -- ঋজু ঘোষ, ২৯-ডিসেম্ব্র-২০২১, ব্যাঙ্গালোর 

ব্লকচেইন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি

Image
আজকাল ভারতবর্ষেও ক্রিপ্টোকারেন্সি নামক মুদ্রাব্যবস্থা ধীরে ধীরে চালু হচ্ছে। পশ্চিম দেশে এর বেশ ভাল রকমের প্রচার ও প্রসার রয়েছে। আমরা যদি ট্রাভেলার্স চেক হিসেবে একে ধরি তাহলে বুঝতে সুবিধে হবে। কিন্তু ব্যাপারটা পুরোটাই ডিজিটাল। এর কোন পেপারওয়ার্ক হয় না। এই পুরো ব্যাপারটা করতে যে টেকনোলজি ব্যবহার করা হয় তাকে বলা হয় ব্লকচেইন। ক্রিপ্টোগ্রাফির শর্ত মেনে এই কারেন্সি গোপন ও স্বচ্ছ রাখা হয়।       একটু বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করা যাক কিভাবে ব্লকচেইন কাজ করে। তার আগে আমরা অনলাইনে ব্যাংক কেমন করে টাকা পাঠায় সেটা একটু ঝালিয়ে নিই। যদি আপনি কাউকে টাকা পাঠাতে চান তাহলে তার নাম, অ্যাকাউন্ট নাম্বার ইত্যাদি আপনার ব্যাংকে রেজিস্টার করতে হবে। অবশ্যই অনলাইনে । এরপর ব্যাংক সেই তথ্য RBI এর মাধ্যমে ভেরিফাই করবে। এরপর আপনি যখন টাকা পাঠাবেন তখন আপনার একাউন্ট থেকে সেই পরিমান টাকা কেটে নির্দিষ্ট একাউন্টে টাকা জমা পড়বে। এই সমস্ত লেনদেনের মধ্যে এক ধরনের বিশ্বাস কাজ করে। যাকে সাধারণত ট্রাস্ট বলা হয়। এখানে আপনি, আপনার ব্যাংক, যাকে পাঠাচ্ছেন তিনি ও তার ব্যাংক --- সকলেই সকলকে চেনেন বা জানেন। দেশ...

আমার দুর্গাপূজা

Image
  দুর্গাপূজা এলেই আমার মধ্যে সাংঘাতিক এক বৈরাগ্যের দর্শন অনুভূত হয়। সমস্ত বাহ্যিক আনন্দ উৎসবের থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। এমন নয় যে এর পেছনে কোন ঘোর কালো ইতিহাস আছে। এটা আমার মধ্যে স্কুল জীবনের মাঝামাঝি সময় থেকেই কেমন করে জানি চলে এসেছে। এক সময় বাড়িতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জামাকাপড় নেব না বলে ফতোয়া জারি করেছিলাম। পূজাবার্ষিকী কেনা হত একটা বা দুটো, সেটাই মূল আকর্ষণ ছিল। এছাড়া বাড়ির থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে দুইখানা পুজো মণ্ডপে ঢুঁ মারতাম ঠিকই কিন্তু সক্রিয় অংশগ্রহণ কখনোই করিনি। এটাও এক ধরনের বৈরাগ্য থেকেই এসেছিল। এরপর চাকরি জীবনে নানা শহরে ঘুরে বেড়িয়েছি। দুর্গাপূজার সময় যে একটা আমেজ পশ্চিমবাংলার প্রতিটি গ্রাম শহরের আকাশে বাতাসে অনুরণিত হয় তা সাংঘাতিকভাবে অনুপস্থিত ভারতবর্ষের অন্য যেকোন শহরে। এর মূল কারণ হয়তো বাকিদের সামগ্রিক উৎসবে শামিল না হওয়া। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু কিছু বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় পূজা হলেও অবাঙালিরা তেমনভাবে এই পুজোয় নিজেদের ভাসিয়ে দেয় না। এর ফলে পুজোর যে একটা আলাদা আমেজ সেটা অনুভূত হয় না। একবার পুজোর সময় পাটনা শহরে ছিলাম। পুজোর চারদিন...

আমাদের স্কুল - জেনকিন্স স্কুল কোচবিহার

Image
------------------------   - ১ -  জলের ট্যাঙ্ক  ------------------------ রবীন্দ্রনাথ নিজে প্রথাগত শিক্ষাদীক্ষা থেকে বহুদূরে থাকলেও পরবর্তীকালে ছাতিমতলা বেছে নিয়েছিলেন শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে হিসেবে। এই রবীন্দ্রনাথের জন্মবর্ষেই আমাদের স্কুল জেনকিন্স বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। আমাদের ছিল দেবদারু গাছ। সেই গাছের নিচে অবশ্য ক্লাস হতো না, কিন্তু সাইকেল থাকত। মাঝে মধ্যে দু’একটা সাইকেল চুরি হয়ে যেত। সবথেকে বেদনাদায়ক ছিল যদি কোন অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্রের সাইকেল চুরি হত। আমি নিজে একবার এইরকম চুরির খবর পেয়ে খুব দুঃখ পেয়েছিলাম। শেষ সম্বল হারিয়ে ছলছল চোখে দাঁড়িয়ে থাকা দাদাটির দিকে তাকিয়ে থাকার মত ক্ষমতা আমার ছিলনা।  আমাদের স্কুলে একটি লাইব্রেরী ছিল। আমরা স্কুল জীবনে যার অস্তিত্ব সন্মন্ধে কোনো ধারনাই করতে পারিনি। পড়াশোনার বাইরে যে জ্ঞানের ভান্ডার থাকে তা বন্ধুদের কাছ থেকে ধার করে পড়ে বা পাড়ার লাইব্রেরী থেকেই মেটাতে হত। কিন্তু সেই স্কুল লাইব্রেরির অভাব মিটিয়েছিল একটি জলের ট্যাঙ্ক। সিমেন্ট দিয়ে তৈরি আদর্শ কিউবিক আকৃতির ট্যাঙ্কটি জাল দিয়ে ঘেরা থাকত আর উপরে ছিল টিনের চাল...